সফটওয়্যার হচ্ছে এক বিশেষ ধরনের প্রোগ্রামের সমষ্টি যা কম্পিউটার কে নির্দেশ দেয় যে কি করতে হবে। বর্তমান যুগের সফট্ওয়ারে ব্যবহার সর্বত্র। ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান,দোকান পরিচালনার জন্য সফটওয়্যার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস থেকে শুরু করে সর্বত্র সফটওয়্যারের ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আজকে আমরা ব্যবসার জন্য সফটওয়্যার এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করব। পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জন্য সফটওয়্যার কেন জরুরী তা আলোচনা করব। এবং সফটওয়্যার কোথা থেকে পাওয়া যেতে পারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে।
পূর্বেই বলা হয়েছে যে এটা হচ্ছে এক বিশেষ ধরনের প্রোগ্রামের সমষ্টি যা কম্পিউটারকে নির্দেশ দেয় যে কি করতে হবে।
একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যার থাকলে সফটওয়ারের সাহায্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজ খুবই দ্রুত গতির সাহায্যে সম্পন্ন করা যায়। যেমন ধরা যাক ডাটা সংরক্ষণ করার যে সফটওয়্যারটা ব্যবহার করা। এরকম সফটওয়্যার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হলে খুব সহজে ডাটা সংরক্ষণ করা যাবে। পাশাপাশি যে ডাটা এই সফটওয়্যারে্র সাহায্যে সংরক্ষণ করা হবে তা নিরাপদ থাকবে।
সফটওয়ারের সাহায্যে বিভিন্ন ধরণের কাজ নির্ভুলভাবে করা যাবে। একটি মানুষকে দিয়ে কাজ করাতে হলে সেখানে ভুল হবার সম্ভাবনা থেকেই যায়। কিন্তু সফটওয়ারের সাহায্যে যদি কোন কাজ করা হয় তবে তা প্রায় শতভাগ নির্ভুল ভাবে করা যায়। সফটওয়্যার দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাজ করানো এটি একটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা।
ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরনের হিসাব নিকাশ করার প্রয়োজন হয়। সফটওয়ারের সাহায্যে এসব হিসাব নিকাশ মুহূর্তের মধ্যে এবং নির্ভুল ভাবে করা যায়।
বেশিরভাগ সফটওয়্যারই ওয়ান টাইম পেমেন্ট করতে হয়। অর্থাৎ সফটওয়্যারটি কেনার সময় যেই পেমেন্ট করতে হয় তাদের সফটওয়ারটি চালানো যায়। তবে কখনো কখনো সফটওয়্যার আপডেট করার জন্য কিছু পরিমাণ টাকা দিতে হয়। তবে তার পরিমান খুবই নগন্য।
এখন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে কর্মকর্তা বা কর্মচারী তে রাখে তবে তাকে প্রতি মাসে বেতন দিতে হয়। তার জন্য আলাদাভাবে বোনাস সহ বিভিন্ন রকম গ্র্যাচুইটি ফান্ড, বোনাস দিতে হয়। কিন্তু সফটওয়ারের সাহায্যে যদি সে মানুষের কাজগুলো করানো যায় তবে হয়তো প্রথমদিকে কিছু খরচ বেশি পড়বে। কিন্তু পরের দিকে কোম্পানির খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনা যাবে।
পাশাপাশি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতনে যে পরিমাণ খরচ হতো তার পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনা যাবে। অর্থাৎ কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যদি সফটওয়্যার দিয়ে কাজ করে তবে কাজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করা যাবে। পাশাপাশি সফটওয়্যার ব্যবহার করলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনেক টাকা খরচ বাঁচাতে পারবে।
সফটওয়্যার ব্যবহার করা মানে কোম্পানিকে যুগের আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চলা। সফটওয়্যার ব্যবহার করার ফলে একটি কোম্পানি অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়। ফলে তার প্রতিদ্বন্দ্বি কোম্পানি গুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকতে পারে একটি কোম্পানি শুধু সফটওয়্যার ব্যবহারের সাহায্যেই।
সফটওয়্যার মূলত কাজ গুলোকে আরো সুন্দরভাবে এবং সহজভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে। যেমন প্রথম চন্দ্রযাত্রা ১৯৬৯সালে যখন হয়েছিল তখন সেখানে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু যখন এই চন্দ্রযান-এর সফটওয়্যার এর ব্যবহার করা হচ্ছিল তখন এর ব্যবহার শুধু বড় বড় বৈজ্ঞানিক কার্যক্রমের কাজেই সীমাবদ্ধ ছিল।
তারপর যখন থেকে পার্সনাল কম্পিউটার এবং মাইক্রোসফটের অপারেটিং সফটওয়্যার এসেছে তখন থেকেই সফট্ওয়ারে ব্যবহার বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ব্যবসার ক্ষেত্রে সফটওয়্যার ব্যবসার বিশ্লেষণসহ অনেক ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
সফটওয়ারের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের কাজ খুবই দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা যায়। সফটওয়্যার গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। কোন মানুষকে যদি সফটওয়্যার এর জায়গায় কাজ করতে দেয়া হয় তবে যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা লাগতো সফটওয়্যার কখনও কখনও এ ধরণের কাজ মুহূর্তের মধ্যে করে ফেলতে পারে।
আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ব্যবসা বিশ্লেষণ সহ অনেক ধরনের কাজের সফটওয়্যার ছাড়া ভালো করে কাজ করা প্রায় অসম্ভব। প্রায় সব ধরনের ইন্ডাস্ট্রি যেমন টুরিজম অ্যান্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ইনভেন্ট্রি ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে সব জায়গায় সফট্ওয়ারে ব্যবহার করা হয়।
শুধু তাই নয় এমনকি সুপারশপে ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের কাজে যেমন সুপারশপে পণ্যগুলোর হিসাব রাখার কাজে এবং বেচা-কেনার ক্ষেত্রে সফটওয়ারের বহুলাংশে ব্যবহার লক্ষ্যনীয়। সুপার শপে ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এ ব্যবহার করা হচ্ছে সফটওয়্যার।
তথ্য কে বলা হচ্ছে বর্তমান যুগের তেল। অর্থাৎ তেল যেমন পূর্বের শতাব্দীতে খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস ছিল। যেমন তেলের উপর নির্ভর করে চলত যানবাহন, কলকারখানা সহ অনেক কিছু। তো পূর্বের যুগে যেমন তেলের ব্যবহার ছিল সেরকম তথ্য হচ্ছে বর্তমান যুগে তেলের সাথে তুলনীয়।
কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ ইনফর্মেশন তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে চলে যাই বা বাজারে ফাঁস হয়ে যায় তবে কোম্পানিটি বৃহত্তর লোকসানের সম্মুখীন হবে।
কোম্পানিগুলোকে এই ধরনের লোকশান থেকে বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে সফটওয়্যার। সফটওয়্যার এমন সিস্টেম করতে পারে যার ফলে কোম্পানি যাদেরকে চাইবে শুধু তারাই সেই তথ্যগুলো অ্যাক্সেস করতে পারবে। সফটওয়্যার এর মাধ্যমে কোম্পানির সদস্যদের মধ্যে এনক্রিপটেড কমিউনিকেশন সিস্টেম করা সম্ভব।
সফটওয়ারের সাহায্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সহজে মনিটরিং করা যায়। একটি সফটওয়্যার একইসাথে ব্যবহার করতে পারে একটি কোম্পানির অনেকগুলো কর্মকর্তা-কর্মচারী। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজগুলো সফটওয়ারের মাধ্যমে সহজে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে পারে।
বিশেষ করে গ্রুপ ওয়ার্ক বা প্রজেক্ট এর কাজের সফটওয়্যার এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। পাশাপাশি কোন কাজ কতদূর অগ্রসর হল এবং কোন কাজে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স কেমন তা খুব সহজেই বোঝা যায় সফটওয়ারের সাহায্যে।
অর্থাৎ একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে কোন কোম্পানির সিইও বা এরকম বড় পদে অধিষ্ঠিত লোকেরা সহজেই এই কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনিটরিং করতে পারে। এভাবে মনিটরিং এর ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যেমন কাজ করার উদ্যম, স্পৃহা সৃষ্টি হয়।
পাশাপাশি কোন জায়গায় যদি কাজের সমস্যা হয় তাহলে কোম্পানির সিইও বা বড় পদের কর্মকর্তারা সহজেই খুঁজে বের করতে পারে।
আমরা আজকে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার এর গুরুত্ব সহ সফটওয়্যার এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। এগুলো পড়ার পর আপনি আপনার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জন্য বা অন্য কোন কাজের জন্য সফটওয়্যার এর কথা চিন্তা করতে পারেন।
Thezoomit একটি নির্ভরযোগ্য সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে প্রতিষ্ঠান। আমরা অনেক ধরনের সফটওয়্যার ডেভেলপ করেছে। আমাদের সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট টিম অত্যন্ত করিৎকর্মা এবং দক্ষ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে এর কাজে।
আপনি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন কাজের জন্য সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করতে হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট টিম সুনিশ্চিত করবে যেন আপনি আপনার পছন্দমত সফটওয়ারটি পান।