অনলাইনে ব্যবসা করা খুবই লাভজনক একটি কাজ। অনলাইনে ব্যবসা করার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রচুর কর্মসংস্থান গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ ক্রমশ অনলাইনে ব্যবসার বিভিন্ন ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে। এমনকি অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য বাইরের দেশে বিক্রি করা হচ্ছে। আজকে আমরা অনলাইনে ব্যবসা কিভাবে করা যায় সে সম্পর্কে জানবো। পাশাপাশি বাংলাদেশে অনলাইন ব্যবসার মার্কেট সম্পর্কে আলোচনা করব। পাশাপাশি আলোচনা করব কিভাবে Thezoomit অনলাইন ব্যবসার জন্য আপনার ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দিতে পারে। ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার পাশাপাশি Thezoomit ওয়েবসাইট ডিজাইনিং ও করে থাকে।

অনলাইন ব্যবসা কিভাবে করা যায়

ফেসবুকের মাধ্যমে

ফেসবুক বাংলাদেশ বলা যায় অনলাইনে সবচাইতে বড় মার্কেট প্লেস। এর মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করা খুবই সহজ।

ফেসবুকে ব্যবসার জন্য একটি আলাদা পেজ খুলে কিংবা নিজের অ্যাকাউন্ট থেকেও পণ্য বিক্রি করা যায়। তবে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে পণ্য বিক্রি করার চাইতে আলাদা একটি বিজনেস পেজ খুলে পণ্য বিক্রি করায় অধিক সুবিধাজনক।

একটি আলাদা বিজনেস পেজ খুললে তা ফেসবুকে ওই পণ্য বা পণ্য সমুহের একটি আলাদা আইডেন্টিটি তৈরিতে এ সহায়তা করে। তৈরিতে পাশাপাশি ওই বিজনেস পেজ থেকে বন্ধুবান্ধবদের পেজে লাইক দিতে ইনভাইট করা যায়।

ফেসবুকে পেজ খুলে বিক্রি করার আরেকটি সুবিধা হচ্ছে এখানে মার্কেটিং খুব সহজে করা যায়। ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং করা যায়। যেমন কেউ পেজের লাইক এর জন্য মার্কেটিং করে। এতে করে পেজটি সম্পর্কে লোকজন আরও বেশি জানতে পারে।

পেইজটিতে যত বেশি লাইক পড়বে তত বেশি লোকজন পেজটির বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। ফেসবুকে এ ধরনের বিজ্ঞাপন করা খুবই সহজ। কারণ শুধু টাকা দিলে ফেসবুকের সাহায্যে এই রকম বিজ্ঞাপন করা যায়। এরকম বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য আলাদা বিশেষ কোনো যোগ্যতা লাগে না এবং রিটার্ন অফ ইনভেস্টমেন্ট ও অনেক বেশি।

তবে বাংলাদেশে এই সব বিজ্ঞাপন দেওয়ার একটি সমস্যা হচ্ছে এগুলো বিজ্ঞাপন ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দিতে হয়। তবে নিজের ক্রেডিট কার্ড না থাকলে অন্যের ক্রেডিট কার্ড ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা যায়।

আবার অনেকে পুরোপুরি পেজের জন্য বিজ্ঞাপন না দিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন পোস্ট বা পণ্যের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়। এ ধরনের বিজ্ঞাপন এর উদ্দেশ্য থাকে যে সুনির্দিষ্টভাবে ওই পণ্যের প্রচারণা এবং বিক্রয় বাড়ানো।

পণ্য বা পেজের যে বুষ্টিং করা হয় ফেসবুকের মাধ্যমে এখানে একটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা উচিত। ছবি বা ভিডিওর মাধ্যমে এসব বুষ্টিং করা হয়। যে ছবি বা ভিডিওর মাধ্যমে বুষ্টিং করা হোক না কেন তা যেন আকর্ষণীয় হয় তা বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার।

পাশাপাশি ছবি বা ভিডিওর সাথে পন্য বা পেজ সম্পর্কিত যে কথাগুলো লেখা হয় তা যেন আকর্ষণীয় এবং সংক্ষিপ্ত হয়।

ফেসবুক পেজের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে এটার জন্য কোন রেজিস্ট্রেশন বা কাগজপত্রের প্রয়োজন নেই। যে কেউ চাইলেই তার ফেসবুকে পেজ খুলে এর মাধ্যমে তার পণ্য বিক্রি করতে পারে।

বুষ্টিং ছাড়াও ফেসবুকে মার্কেটিং এর আরো অনেক উপায় আছে। যেমন ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। এই ধরনের মার্কেটিং এ যে সকল ফেসবুক ইনফ্লুয়েন্সার দের অনেক ফ্যান ফলোয়ার আছে তাদের সাহায্য নেয়া হয়।

তাদেরকে কিছু অর্থের বিনিময়ে প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য দেওয়া হয়। তারা তাদের পেজ থেকে এসব প্রডাক্ট এর প্রমোশন করে থাকে।

এই মার্কেটিং পদ্ধতি খুবই জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। আমরা যদি কোন সেলিব্রেটির পেজে যায় তবে দেখব যে তাদের অনেকে পণ্যের প্রচারণার সাথে সংশ্লিষ্ট। সেলিব্রেটিরা কোন প্রডাক্ট প্রমোশন করলে তা তাদের ফলোয়ারদের কাছে পৌঁছে যায়।

ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে

ইনস্টাগ্রাম মূলত ছবি শেয়ারিং এর জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশে ইনস্টাগ্রাম এর লক্ষাধিক ইউজার আছে।

বাংলাদেশে অনেক পোশাক এর ব্র্যান্ড এবং রেষ্টুরেন্টগুলো বিশেষভাবে টার্গেট করে ইন্সটাগ্রামকে। ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন ধরনের ছবি শেয়ার করে তারা তাদের ফলোয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং প্রোডাক্ট বিক্রি করে।

ফেসবুকের মত ইনস্টাগ্রম ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং খুবই বিখ্যাত। ইন্সটাগ্রাম এর প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য সুন্দর সুন্দর ছবি আপলোড দেওয়া খুবই বাঞ্ছনীয়।

এজন্য কেউ যদি ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করতে চাই তবে তাকে অবশ্যই নিজে থেকে এডিটিং শিখতে হবে। নিজে এডিটিং না করলেও কোন এক্সপার্ট ফটো এডিটরের কাজ থেকে বা গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাছ থেকে তার পণ্যগুলোর সুন্দর সুন্দর ছবি ইনস্টাগ্রামে আপলোড করতে হবে।

ইনস্টাগ্রামে ছবির পাশাপাশি শর্ট ভিডিওর মাধ্যমে ও পণ্যের প্রচারণা করা যায়।

ইউটিউব এর মাধ্যমে

আমরা জানি ইউটিউব হচ্ছে ভিডিও প্রচারের জন্য সবচাইতে বিখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়া সাইট। ফেসবুকের পর যে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটটি সারা বিশ্বের সবচাইতে বিখ্যাত তা হল ইউটিউব।

ইউটিউব এর মার্কেটিং পদ্ধতি পুরোটাই ভিডিও নির্ভরশীল। সুতরাং কোন পণ্যের প্রচার প্রচারণায় যদি ইউটিউবে চালাতে হয় তবে সুন্দর এবং আকর্ষনীয় ভিডিওর মাধ্যমে ইউটিউবে পণ্যের প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে।

ফেসবুকের মত ইউটিউবেও অর্থের বিনিময়ে চ্যানেল বুষ্টিং করা যায়। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংয়েও ইউটিউব এর সাফল্য এবং কার্যকারিতা লক্ষণীয়।

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করা সবচাইতে সুবিধাজনক দিক। কারণ ইউটিউব, ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে আপনি যদি আপনার পণ্যের প্রচারণা করেন তবে সেইসব সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এর রুলস এন্ড রেগুলেশন অনুসারে চলতে হবে।

যেমন ধরুন ফেসবুকের কথায়। ফেসবুকে যদি বুষ্টিং করা না হয় তবে ফেসবুক অনেক সময় দেখা যায় পেজ এর রিচ কমিয়ে দেয়। এরকম নানা ঝামেলা জড়িয়ে থাকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এর সাথেই।

কিন্তু আপনি যদি আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট খুলে তার মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা করেন তবে তা হবে সবচাইতে ভালো। এতে করে আপনি আপনার নিজস্ব চিন্তা চেতনা অনুযায়ী আপনার সাইট টি ডেভলপ করতে পারবেন। পাশাপাশি এমন অনেক কিছু করতে পারবেন যা আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটটিতে করতে পারতেন না।

যেমন ধরুন আপনি আপনার ওয়েবসাইটটিতে ইচ্ছামতন ডিজাইন করতে পারবেন। যেমন কালার, লেআউট, ফন্ট  থেকে শুরু করে সবকিছু আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ডিজাইন করতে পারবেন। কিন্তু ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম আপনাকে এরকম স্বাধীনতা দিবেনা।

আবার একটি ওয়েবসাইট থাকা মানে আপনার একটি ডিজিটাল পার্মানেন্ট এড্রেস থাকা। কারন একটি ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম পেজ যে কেউ চাইলে সহজেই তৈরী করতে পারে। কিন্তু ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে তা না। ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে টাকা দিয়ে ওয়েবসাইট খুলতে হয় এবং ওয়েবসাইট বানানোর কিছু সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে।

আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট আপনি যেভাবে চান সেভাবে ডিজাইন করতে পারবেন। যেখানে আপনি যে পণ্য রাখতে চান সেখানে সে পণ্য রাখতে পারবেন। বিশ্বের সমস্ত ব্র্যান্ডের পণ্য কেনা বেচার জন্য তাদের সুনির্দিষ্ট আলাদা ওয়েবসাইট আছে।

ওয়েবসাইট সিকিউরিটি সিস্টেম খুব স্ট্রং। ফেইসবুক বা ইনস্টাগ্রম যেভাবে সহজে হ্যাক করা যায় ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে তা না। বিশেষ করে ভাল হোস্টিং প্রোভাইডার বেছে নিলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটিকে এবং আপনার তথ্যগুলো কে নিরাপদে রাখতে পারেন।

আবার গুগলের প্রথম পেজে র্র‍্যাংকিং এর জন্য ওয়েবসাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রাম এর সাহায্যে গুগলের প্রথম পেজে র্র‍্যাংকিং পাওয়া প্রায় অসম্ভব একটি কাজ। বিশেষ করে কম্পিটিটিভ কি ওয়ার্ড গুলোর মধ্যে।

গুগলের পেজে র্র‍্যাংকিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তা আমরা কিছুটা আলোচনা করব। যেমন ধরুন কেউ হাত ঘড়ি কিনতে চায়। তখন সে হাত ঘড়ি লিখে গুগলে সার্চ দিল।

এখন কেউ যদি ওয়েবসাইটে তার হাত ঘড়ি বিক্রি করে তবে সে গুগলের পেজে সহজে র‍্যাংক করতে পারবে। ফলে কেউ হাত ধরে লিখে সার্চ দিয়ে ঘড়ি কেনার সময় তার ওয়েবসাইটটি দেখতে পাবে গুগলে। এভাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করা যায়।

আপনি যদি আপনার ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতে চান তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের সুদক্ষ ওয়েব ডেভেলপার রা ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট এ দক্ষ। আমাদের আছে ই-কমার্স সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এন্ড ডেভেলপ করার অভিজ্ঞতা।

ওয়েবসাইট সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সমন্বিত পদ্ধতি

সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করা সবচাইতে ভালো। এই পদ্ধতিটি প্রায় সব বড় বড় ব্র্যান্ড রা করে থাকে। এই পদ্ধতিতে আপনার যেমন একটি ওয়েবসাইট থাকবে পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব একাউন্ট থাকবে।

সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল গুলো ম্যানেজ করার জন্য আপনার আলাদা টিম থাকবে। আবার ওয়েবসাইট দেখার জন্য থাকবে আলাদা টিম।

সমন্বিত পদ্ধতি অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য সবচাইতে সফল পদ্ধতি বলা যায়। কারণ হিসেবে বলা যায় যে এমন অনেকেই আছেন যারা শুধু ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন। তারা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। ফলে আপনি যদি শুধু ফেসবুকে আপনার পণ্যের প্রচারণা চালান তবে যিনি শুধু ইনস্টাগ্রাম ইউজ করেন তিনি তাঁর কাছে আপনার পণ্য এর বিজ্ঞাপন নাও পৌঁছাতে পারে।

এজন্য সবচাইতে উত্তম হচ্ছে সবগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা। পাশাপাশি ওয়েবসাইট হবে আপনার পার্মানেন্ট ডিজিটাল এড্রেস। এভাবে সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন।

তবে কেউ যদি একদমই নতুন বিজনেস শুরু করেন অনলাইনে তবে তার এ সমন্বিত পদ্ধতিতে প্রথমে না যাওয়াই ভালো। কারণ সমন্বিত পদ্ধতিতে অনলাইনে বিজনেস করতে হলে অভিজ্ঞতা লাগবে। পাশাপাশি এখানে অর্থ খরচের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়।

জায়ান্ট ই-কমার্স ওয়েবসাইটে পণ্য বিক্রি করে

বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ই-কমার্স সাইট আছে। যেমন দারাজ কিংবা বিক্রয়.কম। এসকল ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ কেউ নতুন-পুরাতন পণ্য বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

তবে এই ধরনের বড় বড় ওয়েবসাইটে পণ্য বিক্রি করতে হলে পণ্যের লাভ থেকে প্রাপ্ত একটি অংশও ওয়েবসাইটগুলোকে দিতে হয়। পাশাপাশি এই ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোতে অনেক কম্পেটিশন অন থাকে।

অনেক সময় দেখা যায় একই পণ্য অনেক বিক্রেতা একই সাথে বিক্রি করছেন। তখন যার দাম কম হয় গ্রাহকেরা তার কাছ থেকেই পণ্য কিনে থাকেন।

এটাতো গেল বাংলাদেশের ই-কমার্সের বাজার। বিশ্বের বড় বড় ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেমন আমাজন, ইবে তে বাংলাদেশের বসে পণ্য বিক্রি করা সম্ভব। তবে এখানে কিছু ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে।

যেমন বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আপনি এগুলো ওয়েবসাইটে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন না। আপনাকে এজন্য এমন দেশে বসবাসরত নাগরিকের সাহায্য নিতে হবে যে দেশ থেকে এসব পণ্য বিক্রি করা যায়।

যেমন ধরুন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আপনি এসব ওয়েবসাইটগুলোতে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এখন যুক্তরাষ্ট্রে যদি আপনার পরিচিত কেউ থাকে তখন আপনি তাকে বাংলাদেশ থেকে আপনার পণ্যগুলো তার কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে। সে এই পন্যগুলো আমাজন, ইবে ওয়েবসাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্যগুলো লিস্টেড করে দিবে। এভাবে আপনি বাংলাদেসে আমাজন, ইবে তে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।

কোর্স এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন

অনলাইনে শিক্ষকতা পেশা বেছে নিয়ে বিভিন্ন রকম কোর্স এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়। অনলাইন আজকের দুনিয়ার সবচাইতে বড় বিদ্যালয় হয়ে উঠেছে বলা যায়। বিশেষ করে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব এর পর থেকেই ঘরে বসে শিক্ষা গ্রহণের প্রবণতা ব্যাপক হারে বেড়েছে।

এখন অনলাইনে যারা যারা যে বিষয়ে অভিজ্ঞ তারা যদি সে বিষয়ে পাঠদান করে তবে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারে। দুই ভাবে কোর্সের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়।

এক হচ্ছে নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা। এই পদ্ধতিটি তুলনামূলকভাবে জটিল। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে হলে তখন ওয়েবসাইটে অনেক ভিজিটর থাকা লাগবে। আর নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোর্স করাতে চাইলে পেমেন্ট সিস্টেম সহ ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এসব অনেক সুন্দর হতে হবে।

আর একটি তুলনামূলক সহজ পদ্ধতি। এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখানে অনেক ভিজিটর আছে। এমন ওয়েবসাইটে গুলোতে যদি কোর্স টি বিক্রি করা হয় তবে সেখান থেকে কোর্স বিক্রি হবার সম্ভাবনা বেশি।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক বিখ্যাত ওয়েবসাইট আছে যারা এক্সপার্ট দের থেকে বিভিন্ন ধরণের কোর্স ক্রয় করে থাকেন। তবে কোর্স বিক্রি করতে হলে সেই বিষয়ে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। বর্তমানে দেশে বিদেশে কম্পিউটার রিলেটেড কোর্স গুলোর চাহিদা অনেক বেশি।

ডিজিটাল প্রোডাক্ট অনলাইনে বিক্রি করে আয়

ডিজিটাল প্রোডাক্ট হচ্ছে এমন প্রোডাক্ট যার কোন বাহ্যিক অস্তিত্ব না থাকলেও তা মানুষের জীবনে প্রয়োজনীয়। যেমন সফটওয়্যার, ই-বুক ইত্যাদি হচ্ছে ডিজিটাল প্রোডাক্ট।

ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করার বড় সুবিধা হচ্ছে যে ডিজিটাল প্রোডাক্ট যে কোন দেশে সহজেই বিক্রি করা যায়। পাশাপাশি এটার জন্য কোন ধরনের লাইসেন্স বা অন্য কোন কিছুর প্রয়োজন পড়ে না।

বাংলাদেশে এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা সফটওয়্যার বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা অর্থ উপার্জন করছে। অনলাইনে আয় করার সবচাইতে ঝঞ্ঝাটমুক্ত যদি কোন উপায় থাকে তবে তা হচ্ছে ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় করা। এখানে মুহূর্তের মধ্যে বিক্রেতার কাছ থেকে ক্রেতার কাছে প্রোডাক্ট টি পৌঁছে যায়।

বাংলাদেশে অনলাইন ব্যবসার মার্কেট

বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত অনলাইন মার্কেটপ্লেস আছে। বাংলাদেশে এই অনলাইন মার্কেটপ্লেস ক্রমশ বিকশিত হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনসংখ্যার সাথে যদি তুলনা করা হয় তবে তার খুবই খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ অনলাইন থেকে কেনাবেচা করে।

তবে আশার কথা হচ্ছে প্রতিদিনই বাংলাদেশ অনলাইন ব্যবস্থার নতুন নতুন উন্নতি হচ্ছে। অনলাইন বিজনেস বিকশিত হবার জন্য যেমন অনলাইনের বিজনেস এর নীতিমালা সম্পর্কিত আইন থাকা জরুরী।

এছাড়াও যোগাযোগের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যায় যে এখনো কুরিয়ার সার্ভিসে বাংলাদেশের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় কোন পণ্য পাঠাতে গেলে তা অনেক সময় নিয়ে নেয়।

তবে ঢাকা সহ বাংলাদেশের কয়েকটি জায়গায় ক্যাশ অন ডেলিভারি অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবস্থা চালু হয়েছে। পেমেন্ট সিস্টেম এর জটিলতা মোবাইল ব্যাংকিং এবং বিকাশ, নগদ এসবের মাধ্যমে অনেকটাই সহজ হয়ে এসেছে।

দেশের মানুষকে অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য কেনা বেচার ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতে হবে। ইন্টারনেট সহজলভ্য করার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে যেন দ্রুত পণ্য পৌঁছানো যায়।

বাংলাদেশের অনলাইন ব্যবসার আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে বিশ্বাসের অভাব। কার্যকরী আইন এবং নীতিমালা না থাকায় দেখা যায় যে প্রতারকরা অনেক সময়ই এই মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নেয়। তারা অনলাইনে মানুষের টাকা মেরে দেয়। অনলাইনের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি করার জন্য এ সকল মানুষকে দ্রুত শাস্তি প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি।

বাংলাদেশের ইতিমধ্যে অনলাইন খাত থেকে কয়েক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আশা করা যায় বাংলাদেশ ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন মার্কেটপ্লেস হবে।

Thezoomit এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এন্ড ডিজাইনিং

অনলাইন ব্যবসার একটি অন্যতম নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসা করা। Thezoomit আপনার জন্য তৈরি করে দিতে পারে একটি ওয়েবসাইট। এর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারেন গ্রাহকদের কাছে।

আমাদের আছে সুদক্ষ ওয়েব ডেভেলপার এবং ডিজাইনিং দল যারা ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এ অভিজ্ঞ। আমরা পূর্বে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইট ডেভেলপ এবং ডিজাইন করেছি। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট ডেভেলপ এবং ডিজাইন করতে চান তবে আমাদের সাথে নির্ধিদায় যোগাযোগ করতে পারেন।

অনলাইন ব্যবসার জন্য Thezoomit একটি নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এন্ড ডিজাইনিং প্রতিষ্ঠান।

Read More: 

ই কমার্স কাকে বলে? ই কমার্স এর গুরুত্ব এবং সুবিধা

দোকানের হিসাব রাখার সফটওয়্যার

ঘরে বসে নিউজ পোর্টাল থেকে আয় করার সহজ পদ্ধতি

ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?