অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করাকেই ই কমার্স বলে। দারাজ, ইভ্যালি, রকমারি সহ বিভিন্ন রকম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমরা বাংলাদেশ দেখতে পাই। ই-কমার্স ব্যবসার সবচাইতে বড় সুবিধা হল এই ব্যবসা আপনি আপনার ঘরে বসে থেকে করতে পারবেন। বাংলাদেশ এখন অনেকেই ই-কমার্স ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছে এবং সচ্ছলতা অর্জন করেছে। আজকে আমরা ই কমার্স কাকে বলে? ই কমার্স এর গুরুত্ব এবং সুবিধা, ই-কমার্স ব্যবসার বৈশিষ্ট্য, বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা করার জন্য কিছু টিপস এবং ই-কমার্স সম্পর্কিত বিভিন্ন রকম তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
পূর্বে ই-কমার্স সম্পর্কে আমাদের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে যে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম ব্যবসা করাকেই ই কমার্স বলে। এটা অনলাইনে মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের পন্য বিক্রি হতে পারে যেমন ধরুন কেউ ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে তার পেজ খুলে অনলাইনে কোন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছে এটা এক ধরনের ই-কমার্স ব্যবসা। ওয়েবসাইট খুলে অনলাইনে পণ্য সামগ্রী বিক্রি করা এটাও ই-কমার্স। পাশাপাশি Thezoomit কিভাবে আপনার জন্য আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দিতে পারে এবং আপনাকে একটি বিশ্বমানের ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দিতে পারে তা নিয়েও আলোচনা করব।
ই-কমার্সে বিক্রেতার পন্য তার ওয়েবসাইট বা তার সোশ্যাল মিডিয়াতে যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে প্রদর্শন করবে এবং ক্রেতা তা থেকে তার পণ্য বেছে বেছে নিবে। যেমন ধরুন আপনি কোন দোকানে গেলেন সেখানে আপনি পণ্যটি কেনার আগে অবশ্যই পন্য টি দেখে নিবেন। ই-কমার্স ব্যবসা তে সেই রকমভাবেই আপনি পণ্যটি কেনার আগে পন্য টি অনলাইনে দেখতে পারবেন।
প্রচলিত দোকানের সাথে ই-কমার্স এর পার্থক্য হচ্ছে প্রচলিত দোকানে পণ্য আপনি সামনাসামনি দেখতে পারবেন এবং ই-কমার্সে পণ্য আপনাকে দেখতে হবে অনলাইনে। ই-কমার্স ব্যবসার আরো একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল ই-কমার্স ব্যবসার পেমেন্ট পদ্ধতি। ই-কমার্স ব্যবসায় আপনি পেমেন্ট পদ্ধতি অনলাইনে করতে পারবেন। অনলাইনে বিভিন্ন রকম পদ্বতি যেমন বিকাশ, রকেট, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে পণ্যের দাম পরিশোধ করা যায় ই-কমার্স ব্যবসাতে।
ই-কমার্স এর আরো একটি উল্লেখযোগ্য পণ্য হল ডিজিটাল প্রোডাক্ট। ডিজিটাল প্রোডাক্ট হচ্ছে এমন ধরনের প্রোডাক্ট যার কোন অস্তিত্ব আমরা হাতে অনুভব করতে পারি না কিন্তু আমাদের জীবনে তা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন কম্পিউটারের ক্ষেত্রে সফটওয়্যার কে বলা যায় ডিজিটাল প্রোডাক্ট। বিভিন্ন রকম কোর্স, অনলাইন গেমিং, ই বুক ইত্যাদিকে ও ডিজিটাল প্রোডাক্ট বলা যায়। ডিজিটাল প্রোডাক্ট লেনদেনের ক্ষেত্রে অনলাইন সবচাইতে ভাল মাধ্যম কারণ অনলাইনের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ডিজিটাল প্রোডাক্টের লেনদেন করা যায়। ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সবচাইতে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ই-কমার্স।
অনলাইনে পরিসংখ্যান সংক্রান্ত বিখ্যাত ওয়েবসাইট statista এর এক প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশ ই কমার্স এর ব্যবসা প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবেদন টি তে আরও বলা হয় যে, বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে 2023 সালের মধ্যে আশা করা যাচ্ছে। করোনাভাইরাস এর মধ্যে সমস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ই কমার্স ব্যবসা কিন্তু খুব দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ই কমার্স এর মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসে তার পণ্য ডেলিভারি নিতে পেরেছে ফলে করোনাভাইরাস এর মাধ্যমে মানুষ বাইরে না যেয়েও তার প্রয়োজনীয় পন্য ঘরের মধ্যে ডেলিভারি নিতে পেরেছে। বাংলাদেশে ই কমার্স এর ভবিষ্যত খুব উজ্জ্বল।
দারাজ ইভ্যালি রকমারি সহ আমরা যদি বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফলো করে এবং তাদের বিক্রয় দেখি তবে দেখব যে তা প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে অর্থাৎ প্রতিবছর বাংলাদেশে অনেক মানুষ ই কমার্স প্লাটফর্মে আসছে এবং তারা পণ্য বেচাকেনা র সাথে যুক্ত হচ্ছে। তবে এই সংখ্যাটা আরো বেশি হওয়া দরকার।
বর্তমানে বাংলাদেশের খুব অল্প সংখ্যক মানুষ ই কমার্স এর মাধ্যমে পণ্য বেচাকেনা র সাথে যুক্ত আছে। বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষও যদি ই-কমার্স এর মাধ্যমে পণ্য বেচাকেনা সাথে যুক্ত হয় তবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তর ই-কমার্স মার্কেট।
বাংলাদেশের ই-কমার্সের ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা এবং মানুষের ই-কমার্স ব্যবসার প্রতি আস্থা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। তবে বাংলাদেশে ই-কমার্স মার্কেট হয়ে উঠবে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তর ই-কমার্স মার্কেট।
বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় ই-কমার্স ব্যবসার গুরুত্ব অপরিসীম। ই-কমার্স ব্যবসার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলা যায় যে শুধু কমার্স এর মাধ্যমে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ এবং বেকার যুবকরা স্বাবলম্বী হতে পারে এবং তারা কর্মসংস্থান অর্জন করতে পারে।
পাশাপাশি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে। আমাদের সবচাইতে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয় গার্মেন্টস সেক্টর থেকে। গার্মেন্টস সেক্টরের মত যদি প্রণোদনা এবং সুযোগ-সুবিধা আর ট্রেনিং ইত্যাদি যদি ই কমার্স সেক্টরেও দেওয়া হয় তবে একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে ই কমার্স খাত থেকেও বাংলাদেশে খুবই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে এবং তা বাংলাদেশের জন্য একটি রপ্তানিমুখী শিল্প পরিণত হবে।
সুতরাং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং দেশের বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য ই কমার্স সেক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ই-কমার্স সেক্টরের এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ও ব্যবসা বাণিজ্য বিস্তার লাভ করা যেতে পারে। যেমন গত কয়েক বছর ধরেই প্রান্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের আম চাষিদের মধ্যে অনেকেই তাদের আড়তদারদের কাছে আম বিক্রি না করে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে যেমন ফেসবুক ইত্যাদি ব্যবহার করে তারা তাদের আম বিক্রি করছে। অনলাইন মাধ্যম যেমন ফেসবুক ব্যবহার করে তারা তাদের আম বিক্রি করছে।
ই-কমার্স খাত ব্যবহার করে এই ব্যবসায়ীরা তাদের আম বিক্রির মাধ্যমে একদিকে যেমন তাদের পণ্যের জন্য খুব ভালো দাম পাচ্ছে পাশাপাশি শহর অঞ্চলের মানুষ ফরমালিনমুক্ত খাটি আম খেতে পারছে। যদি ই কমার্সের সম্পর্কে মানুষকে আরো প্রশিক্ষণ এবং সচেতন করে তোলা যায় তা যথাযথ ভাবে পরিচালনা করার জন্য তবে একথা সুনিশ্চিতভাবে বলা যায় যে বাংলাদেশের ব্যবসার বিস্তারে, কর্মসংস্থানে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ই-কমার্স খাত বৈপ্লবিক ভূমিকা পালন করতে পারে।
কেউ কেউ বলতেই পারে যে, ফেসবুকের মাধ্যমেই তো ই কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা যায় তাহলে এইসব ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার কি দরকার। কিন্তু ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করা গেলেও এখানে আপনি ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীও অনেক কিছু করতে পারবেন না।
যেমন আপনার পছন্দ মত ফেসবুক পেজ ডিজাইন করা, বিভিন্ন বাটন এড করা বা পেমেন্ট সিস্টেম এড করা এসব আপনার ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে করতে পারবেন না। পাশাপাশি ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম বিজনেস পেজ গুলোতে নিয়মিত পেজ বুস্ট না করা হয তবে অনেক ক্ষেত্রেই তারা আপনার পেজ রিচ কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি আপনার পেইজ বা আইডি হ্যাক হবার সম্ভাবনা উড়িয়ে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সেজন্য সবচাইতে ভালো উপায় হল যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইট খুলে এর মাধ্যমে আপনার ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করেন। আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় এবং পছন্দ মত ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য সাহায্য করতে পারে Thezoomit. আমাদের আছে সুদক্ষ এবং অভিজ্ঞতা টিম যারা অনেক ই কমার্স ওয়েবসাইট ডেভলপ করেছে এবং ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টে আমাদের আছে সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা।
আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ই কমার্স ওয়েব সাইটটি আমাদের কাছ থেকে ডেভলপ করিয়ে নিতে পারেন।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন লকডাউন ঘোষণা করা হল তখন প্রায় সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হলো। কিন্তু ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে তা হলো না বরং এই করোনাভাইরাস এর মধ্যে ব্যবসা আরো বৃদ্ধি পেল।
এর মূল কারণ হচ্ছে ই কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আপনার কোন বিশেষ জায়গা প্রয়োজন হয় না, আপনি আপনার নিজের ঘরে বসে থেকে আপনি আপনার ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে পারবেন। শুধু তাই নয় ঘরে বসে থেকে সম্পূর্ণ একটি ই-কমার্স এর অফিস পরিচালনা করা যায়। ই-কমার্স ব্যবসার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধা হল এই ঘরে বসে থেকে কাজ করার সুবিধা।
যে কোন ব্যবসা করার জন্য মূলধন প্রয়োজন। ব্যবসা করার জন্য সাধারণত অফিস, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদির খরচ বহন করতে হয় কিন্তু ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে আপনি যদি প্রথম দিকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি নাও করেন তাও শুধু আপনি ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
অর্থাৎ সহজভাবে বলা যায় যে ব্যবসায় বিক্রি করার জন্য যদি আপনার পণ্যটি থাকে তাহলেই আপনি ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অল্প মূলধন দিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে ই-কমার্স ব্যবসার অন্যতম সুবিধাজনক দিক।
অন্যান্য ব্যবসার থেকে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা অত্যন্ত সহজ। যেমন ধরুন কেউ যদি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে ই কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করতে চায় তবে তার শুধু ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম পরিচালনা করার জন্য যে জ্ঞান থাকা দরকার তা থাকলেই ই কমার্স ব্যবসা করতে পারবে।
আবার কেউ যদি নিজের ওয়েবসাইট খুলে ব্যবসা করতে চাই তবে সেখানেও ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা অত্যন্ত সহজ। এখানে ওয়েবসাইট খুলে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য কিছু জিনিস যেমন পণ্যের ছবি আপলোড দেওয়া, পণ্য সম্পর্কে বিবরণ দেওয়া ইত্যাদি অত্যন্ত সহজ কাজ। এগুলো যদি কেউ নাও জানে তবে সে শিখে নিতে পারবে। ব্যবসা পরিচালনা করার এই ব্যবস্থা ই-কমার্স ব্যবসার অন্যতম সুবিধাজনক দিক।
ছোটখাটো ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য মালিক নিজেই তার ই কমার্স ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন কাজ যেমন পণ্যের ছবি আপলোড দেওয়া, পণ্যের বিবরণ দেওয়া, গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়া এসব কাজ করতে পারে। কিন্তু ই-কমার্স ওয়েবসাইট যদি একটু বড় হয় তবে কয়েকজন কর্মী লাগে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য।
তবে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হলেও কেউ যদি প্রথাগত ব্যবসা পরিচালনা করত তবে যে পরিমাণ কর্মী লাগত তার ই কমার্স ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সেই একই পরিমাণ ব্যবসার ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ কর্মী দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে। খুব অল্প সংখ্যক কর্মী দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা হল ই কমার্স ব্যবসার আরেকটি সুবিধাজনক দিক।
প্রথাগত ব্যবসার কথা যদি বলতে হয় তবে একই সাথে একাধিক প্রথাগত ব্যবসা করা খুবই কঠিন। যেমন কারো যদি একটি দোকান থাকে এবং সে দুই থেকে তিনটি দোকান চালাতে চায় তবে তার জন্য অনেক পরিশ্রমের দরকার হয় কিন্তু কেউ একই সাথে একাধিক ই-কমার্স ব্যবসা খুব সহজে চালাতে পারে। এর কারণ যেটা আগে বলা হয়েছে যে ই কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা খুবই সহজ। একই সাথে একাধিক ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা ই কমার্স এর আরেকটি সুবিধাজনক দিক।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আমরা ই কমার্স ব্যবসায়ীদেরকে বলব কারণ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ এবং সুবিধানজক। অনেক সুবিধা ওয়েবসাইটে ই কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করলে পাওয়া যায় যা শুধু ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করলে পাওয়া যাবে না। তাই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা হবে ই কমার্স ব্যবসায়ীদের প্রতি আমাদের প্রথম সাজেশন।
দ্বিতীয় যে সাজেশনটা আমরা এই ই-কমার্স ব্যবসায়ীদেরকে দিতে চায় আর তা হলো কোন দক্ষ ওয়েব ডেভলপার কে দিয়ে তার ওয়েবসাইট ডিজাইন করিয়ে নেওয়া। একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপার কে দিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন করিয়ে নিলে যেমন ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ফাংশন গ্রাহকের বুঝতে সুবিধা হবে ঠিক তেমনি ভাবে ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন গ্রাহকেরা। Thezoomit একটি দক্ষ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি যারা আপনার পছন্দ মত আপনার ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দিতে পারে।
যত বেশি গ্রাহকের জন্য ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট করা যায় তৈরি করা যাবে ততো বেশি গ্রাহকরা সেখান থেকে পণ্য কিনতে সুবিধা বোধ করবেন। যেমন পেমেন্ট এর বিভিন্ন অপশন এর সুবিধা প্রদান করা। ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট ইত্যাদি সব ধরনের পেমেন্ট এর অপশন রাখা সবচাইতে ভালো। গ্রাহকরা যেন খুব সহজে ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনতে পারেন এবং ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পণ্য খুঁজে বের করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাহকদের জন্য ওয়েবসাইট যত ইউজার ফ্রেন্ডলি হবে তারা ততো বেশি পণ্য ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারবেন। Thezoomit আপনার ওয়েবসাইটের যেন ইউজার ফ্রেন্ডলি হয় তা নিশ্চিত করবে।
সুন্দরভাবে একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করা হলে সেই ওয়েবসাইট থেকে পণ্য বিক্রি হবার সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যায়। একটি দোকানের কথা চিন্তা করুন আপনি যদি দোকানে ঢুকে দেখেন যে দোকানের পণ্যগুলো এলোমেলো ভাবে সাজানো আছে এবং দোকানের সাজসজ্জা ও সুন্দর না তবে খুব বেশি সম্ভাবনা আপনি দোকান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য কিনবেন না। কিন্তু দোকানে যদি পণ্যগুলো সুন্দরভাবে সাজানো থাকে তবে ওই দোকান থেকে আপনার পণ্য কেনার সম্ভাবনা বহুলাংশে বেশি সেই দোকানের তুলনায় যেই দোকানে পণ্যগুলো সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো ছিল না এবং দোকানের সাজসজ্জা ও সুন্দর ছিল না।
ওয়েবসাইট ডিজাইন করার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট এর কালার, লেআউট, ফন্ট ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। ওয়েবসাইট ডিজাইন যদি সুন্দর হয় তবে ওয়েবসাইট থেকে আপনার পণ্য বিক্রি হবার সম্ভাবনা বহুলাংশে বেড়ে যাবে। সুতরাং ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে ই কমার্স উদ্যোক্তাদের।
আপনি যখন প্রথমে ব্যবসা শুরু করবেন তখন আপনি যদি আপনি আপনার পণ্যের দাম খুব অল্প পরিমাণ হলেও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের তুলনায় কম রাখেন তবে অনেকেই আপনার দোকান থেকে পণ্য কিনতে আগ্রহী হবে। প্রথমে হয়তো আপনি কিছুটা ভর্তুকি দিয়ে পণ্য এভাবে বিক্রি করলেও এতে আপনার ব্যবসার যে সুনাম হবে তা আপনাকে পরবর্তীতে অনেক গ্রাহক এনে দিতে সহায়তা করবে।
আমরা আজকে ই-কমার্স ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যদিও বাংলাদেশে এখনো খুবই অল্প পরিমাণ মানুষ ই-কমার্স এর মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছে কিন্তু এই সংখ্যাটা ভবিষ্যতে বাড়বে বলে আশা করা যায়। ই-কমার্স খাতের যথাযথ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য প্রচুর ট্রেনিং এর দরকার আছে। পাশাপাশি ই-কমার্স তুলনামূলকভাবে একটি নতুন ইন্ডাস্ট্রি। একে গড়তে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আপনি যদি আপনার ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে চান তবে আপনি Thezoomit এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট খুলে আপনার ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ই-কমার্স সম্পর্কিত আরো যে কোন জিজ্ঞাসার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।